এঁটেল মাটি কাকে বলে - এঁটেল মাটির বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা

এঁটেল মাটি কাকে বলে - আমাদের আজকের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে মূলত এঁটেল মাটি নিয়ে। আপনারা অনেকেই হয়তো এঁটেল মাটি কাকে বলে, এঁটেল মাটিতে কোন ফসল ভালো হয়, এঁটেল মাটি কোথায় পাওয়া যায়, এঁটেল মাটির উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানেন না।
এঁটেল মাট কাকে বলে

তো আপনি যদি এঁটেল মাটির এসব প্রয়োজনীয় দিকসমূহ সম্পর্কে জেনে না থাকেন, তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে একেবারে শেষ অবদি মনযোগ সহকাড়ে পড়তে থাকুন, তাহলে আশা করছি এঁটেল মাটি নিয়ে অজানা তথ্যগুলো জানতে পারবেন। তাহলে আসুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রথমেই এঁটেল মাট কাকে বলেতা বিস্তারিত জেনে নেই।

এঁটেল মাটি কাকে বলে

মূলত যেসব মাটিতে বালির পরিমান কম থাকে এবং পলি ও কাঁদার পরিমান বেশি থাকে তাকেই এঁটেল মাটি বলা হয়। এটেল মাটি অন্যান্য মাটির তুলনায় খুবই নরম, ছোট দানা বিশিষ্ট এবং মিহি হয়ে থাকে।

এঁটেল মাটির বৈশিষ্ট্য

আপনারা অনেকেই হয়তো গুগলের কাছে প্রতিনিয়ত জানতে চান যে এঁটেল মাটিতে কি কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে তাই আমরা পোষ্টের অংশে এঁটেল মাটির বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্যসমূহ নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
তাহলে আসুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে নিম্নলিখিত অংশ থেকে এই মাটির বৈশিষ্ট্যগুলি জেনে নেই।

১. এঁটেল মাটির কণার আকার ছোট

এঁটেল মাটির কণার আকার এতই ছোট যে আপনি খালি দোখে সেই কণাগুলো দেখতে পাবেন না। যার ফলে এঁটেল মাটি মসৃণ এবং আঠালো আকারের হয়।

২. পানি ধারন ক্ষমতা বেশি

এঁটেল মাটি অনেক ছোট কণা আকার হওয়ার ফলে এর পানি ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি। আবার উদ্ভিদের জন্য এই মাটি উপকারী, কারণ এতে গাছপালা দুর্ভিক্ষের সময়ও পানির কোনরকম অভাব হয় না। কিন্তু অনেকসময় সমস্যার কারণ হতে পারে, কারণ গাছের গোড়ায় পানি জমে গিয়ে শিকড় নষ্ট হতে পারে।

৩. এঁটেল মাটি খুব উর্বর

এঁটেল মাটিতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে পুষ্টি, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য অনেক কাজে দেয়। এঁটেল মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে, যা্র ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।

৪. পানি নিষ্কাশনের সমস্যা হতে পারে

এঁটেল মাটির কণার আকার খুবই ছোট হোয়ার কারণে এগুলো অনেক শক্তভাবে আটকে থাকে। এজন্য এর মধ্য দিয়ে পানি খুব কম নিষ্কাশন হয়। যার ফলে এঁটেল মাটিতে পানি জমে থাকে, যা উদ্ভিদের শিকড় নষ্ট করে দেয়।

৫. এঁটেল মাটি কম সংবেদনশীল

বেলে মাটির চেয়ে এঁটেল মাটি ক্ষয় হওয়ার প্রক্রিয়া অনেক কম সংবেদনশীল। কেননা এঁটেল মাটির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার আকার অনেক সহজে আটকে থাকার প্রবণতা।

৬. অন্যান্য মাটির চেয়ে গরম হইতে বেশি সময় নেয়

বসন্তকালে এঁটেল মাটি অন্যান্য মাটির চেয়ে গরম হইতে বেশি সময় নেয়। যা উদ্ভিদের বিকাশকে বিলম্বিত করতে পারে।

৭. এঁটেল মাটি শুকালে ফেটে যায়

এঁটেল মাটি শুকিয়ে গেলে এটি গভীর ফাটল দেখা দিতে পারে। এটি উদ্ভিদের শিকড়ের জন্য ক্ষতিকর এবং মাটির গঠনও নষ্ট করে দেয়।

৮. এঁটেল মাটির সঙ্গে কাজ করা কঠিন

এঁটেল মাটির আঠালো ভাব প্রকৃতির কারণে ফসল ফলানো বেশ কঠিন। এই মাটি খনন করা, চাষ করা অনেক কঠিন করে তোলে।

এঁটেল মাটিতে কোন ফসল ভালো হয়

এঁটেল মাটি কাকে বলে তা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি আমাদের এঁটেল মাটিতে কোন ফসল ভালো হয় তা জেনে নিতে হবে। এটেল মাটি মূলত সব ধরণের ফসল ফলানোর জন্য উপযুক্ত মাটি নয়। আপনি চাইলেও এই মাটিতে সব ধরণের ফসল উৎপাদন করতে পারেন না। কেননা এই মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা অন্যান্য মাটির তুলনায় অনেক কম। আর সব ধরণের ফসল ফলাতে হলে পানি ধারণ সহ্য করার ক্ষমতা বেশি থাকতে হবে।
এঁটেল মাটিতে কোন ফসল ভালো হয়


সুতরাং এই মাটিতে সকল ফসল উৎপাদন করতে পারবেন না এবং এই মাটিটি হয় সাধারণত মাঝারি সাইজের একটি উঁচু জায়গায়। তাহলে আসুন, এই মাটিতে কোন কোন ফসল ভালো হয় তা জেনে নেওয়া যাক--
আলু চাষের জন্য এই মাটি অনেক উপকারী আপনি চাইলেই এই মাটিতে হাল চাষ করতে পারেন। আলুর ফলন এটেল মাটিতে অনেক ভালো হয়।

আপনি চাইলে পাট চাষ করতে পারেন এঁটেল মাটিতে পাট চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি হলো এটেল মাটি। এটেল মাটিতে আপনি বেলে পাট চাষ করতে পারবেন এই জাতের পাট বেশি ভালো চাষ হবে।

এটেল মাটি গম চাষের জন্য ভালো একটি মাটি এই মাটিতে আপনি চাইলেই গম চাষ করতে পারেন।

পেঁয়াজ চাষ করতে পারেন এঁটেল মাটিতে।

মরিচ এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষের জন্য এটেল মাটি ভালো।

👉 তবে এছাড়াও এটেল মাটিতে নিম্নলিখিত ফসলগুলি বেশ ভালো হয় যথাঃ
  • ধান
  • গম
  • মুগ
  • মাসকলাই
  • সরষে
  • তিল
  • কাউন
  • জুট
  • আখ
  • নারিকেল
  • তাল
আপনি যদি এটেল মাটিতে কোন ফসল ফলানোর কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই কয়টি ফসল আপনি আপনার মাটিতে আবাদ করবেন কারণ এই ফসলগুলো অন্য ফসলের তুলনায় অনেক ভালো উৎপাদন হবে। আশা করি এঁটেল মাটিতে কোন ফসল ভালো হয় তা আপনি বুঝতে পেরেছেন।

বেলে মাটিতে কোন ফসল ভালো হয়

বেলে মাটিতে অনেক ধরনের ফসল ভালো ফলে। বেলে মাটিতে কোন কোন ফসলগুলো উৎপাদিত হয় সেই সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ
  • চিনা বাদাম
  • তরমুজ
  • গাজর
  • মিষ্টি আলু
  • টমেটো
  • শসা
  • মুলা
  • হলুদ
  • সরিষা
  • এবং আখ
বেলে মাটি একটু বালি আকৃতির হওয়ায় আপনি যদি ফসল উৎপাদন করতে চান তাহলে উপরোক্ত এই কয়েকটি ফসল উৎপাদন করতে পারেন। কেননা উল্লিখিত ফসল এই মাটিতে অনেক ভালো উৎপাদন হয়ে থাকে। অবশ্যই আপনি যদি পরবর্তীতে বেলে মাটিতে কোন কিছু চাষ করতে চান তাহলে উপরের সূচিপত্রে দেওয়া এই কয়টি ফসল উৎপাদন করবেন।

কোন মাটিতে ভালো ফসল ফলে

এখন পর্যন্ত যত ধরণের মাটি রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফসল উৎপাদন হয় দোআঁশ মাটিতে । এই মাটিতে আপনি চাইলে সব প্রকারের ফসল খুব ভালোভাবে উৎপাদন করতে পারবেন। এক কথায় বলা যায় যে দোআঁশ মাটি ফসল উৎপাদনের জন্য একটি অসাধারণ মাটি। দোআঁশ মাটিতে জৈব পার্থ এবং খনিজের মাত্রা অধিক পরিমাণে থাকে যার ফলে দোআঁশ মাটিতে ফলন ভালো হয়।
দোআঁশ মাটি ভালো ফসল ফলানোর জন্য সবচেয়ে উপযোগী। এই মাটিতে বালি, পলি ও কাদা মাটি সমভাবে মেশানো থাকে, যা ফসল বৃদ্ধির জন্য আদর্শ। এছাড়াও, পলি মাটি এবং কিছু ক্ষেত্রে বেলে মাটিও কিছু বিশেষ ফসলের জন্য ভালো।

বিভিন্ন ধরনের মাটিতে বিভিন্ন ফসল ভালো জন্মানোর কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:

দোআঁশ মাটি:

প্রায় সব ধরনের ফসল যেমন - ধান, গম, ভুট্টা, সবজি, ফল, ফুল ইত্যাদি এই মাটিতে ভালো হয়।

পলি মাটি:

ধান, গম, ভুট্টা, আখ, ডাল, তৈলবীজ ইত্যাদি এই মাটিতে ভালো জন্মে।

বেলে মাটি:

কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যে মাটিতে জল নিকাশের ভালো ব্যবস্থা আছে, সেখানে গাজর, মিষ্টি আলু, চিনাবাদাম, তরমুজ, শসা, টমেটো, মুলা এবং মিষ্টি ভুট্টা ভালো হয়।

কাদামাটি কিছু ফসলের জন্য উপযুক্ত হলেও, অতিরিক্ত কাদামাটি পানি ধরে রাখতে পারে এবং শ্বাসপ্রশ্বাস কমাতে পারে, যা কিছু ফসলের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।

সুতরাং, আপনার এলাকার মাটি এবং কোন ফসল ফলাতে চান তার উপর নির্ভর করে, উপযুক্ত মাটি নির্বাচন করা উচিত।

তবে হ্যাঁ এটি মাটির ধান চাষের জন্য বেশি উপকারী কারণ এটির মাটিতে ধান চাষ অনেক বেশি হয় এবং এর ফলন অনেক ভালো হয়। আপনার মাটি যদি থাকে দোআঁশ মাটি তাহলে আমি বলব অবশ্যই আপনি ধান চাষ করবেন কারন এতে আপনি অনেক লাভবান হবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কোন মাটিতে ফসল ভালো উৎপাদন করা যায়।

এঁটেল মাটি কোথায় পাওয়া যায়

এটেল মাটি মূলত শুষ্ক এবং অর্ধ-শুষ্ক অঞ্চলগুলোতে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এটেল মাটির পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ। এটেল মাটি সাধারণত পাহাড়ি অঞ্চলে, নদীপাড়, হাওড় এবং বনভূমি এলাকাতে পাওয়া যায়।

এঁটেল মাটি সাধারণত নদী বা জলাশয়ের কাছাকাছি এলাকায় পাওয়া যায়। এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে পুরনো জলাভূমি বা যেখানে একসময় জলপ্রবাহ ছিল, সেখানেও এঁটেল মাটি পাওয়া যেতে পারে। এঁটেল মাটি হলো এক প্রকার মাটি যা সূক্ষ্ম কণা দিয়ে গঠিত এবং জল ধারণ করার ক্ষমতা বেশি থাকে।

এঁটেল মাটি চেনার উপায়:

  • ভেজা অবস্থায় মাটি খুব আঠালো থাকে।
  • শুকনো হলে মাটি মসৃণ হয়ে যায়।
  • এই মাটি সাধারণত জল ধরে রাখতে পারে।
  • মাটির কণাগুলো খুব কাছাকাছি থাকে, ফলে এদের মধ্যে বাতাস চলাচল করতে পারে না।
এঁটেল মাটি সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষের জন্য উপযুক্ত। বিশেষ করে ধান, গম, আখ ইত্যাদি ফসল এই মাটিতে ভালো জন্মে। এছাড়া, সবজিও এই মাটিতে ভালো হয়, যেমন- বাঁধাকপি, ব্রোকলি ইত্যাদি।

এঁটেল মাটির রং কেমন

এটেল মাটি দেখতে অনেকটা হলুদ বা বাদামী রঙের হয়ে থাকে। আবার যখন এই মাটির ক্যালসিয়াম কার্বনেট বেশি থাকে তখন এই মাটি দেখতে সাদার মত হয়। আর যদি এই মাটিতে আয়রন অক্সাইড বেশি পরিমাণে থাকে তাহলে মাটির রং হলুদ বা বাদামী হয়।

এঁটেল মাটির উপকারিতা

আপনারা অনেকেই গুগলের কাছে এঁটেল মাটির উপকারিতা নিয়ে প্রতিনিয়ত জানতে চান। তাই আমরা এঁটেল মাটি কাকে বলে তা জেনে নেওয়ার পাশাপশি এঁটেল মাটির উপকারিতাসমূহ জেনে নিব।

এঁটেল মাটির উপকারিতাগুলি নিম্নে উল্লেখ করে দেয়া হল:
  • এঁটেল মাটি উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন
  • এঁটেল মাটিতে পানি ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশন ভালো হয়
  • এঁটেল মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে
  • এঁটেল মাটিতে ক্ষয় রোধকতা বেশি থাকে

এঁটেল মাটিতে ফসল উৎপাদনের কিছু টিপস

এঁটেল মাটিতে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে মাটির উর্বরতা ও জল ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। নীচে কিছু টিপস দেওয়া হল যা এঁটেল মাটিতে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে:

এঁটেল মাটিতে ফসল উৎপাদনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিচে দেওয়া হলো:

১। মাটির নিষ্কাশন উন্নত করুন:

এঁটেল মাটি জল ধরে রাখতে পারদর্শী, তাই অতিরিক্ত জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা জরুরি। জল নিষ্কাশনের জন্য বেড তৈরি করা বা নালার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

২। জৈব পদার্থ যোগ করুন:

মাটিতে জৈব পদার্থ যোগ করা এঁটেল মাটির গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে। কম্পোস্ট, গোবর সার, বা লিটার যোগ করে মাটির গুণমান উন্নত করা যায়।

৩। সঠিক ফসল নির্বাচন:

কিছু ফসল এঁটেল মাটিতে ভালো জন্মাতে পারে, যেমন - ধান, ভুট্টা, কিছু সবজি (যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, পালং শাক), এবং কিছু ফল (যেমন পেঁপে)। এই ফসলগুলি নির্বাচন করা ভালো।

৪। সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ করুন:

এঁটেল মাটিতে ফসলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ করা উচিত। জৈব সার এবং রাসায়নিক সার উভয়ই ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫। মাটির pH লেভেল পরীক্ষা করুন:

মাটির অম্লতা বা ক্ষারত্বের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখুন। এঁটেল মাটির pH লেভেল ৬.৫ থেকে ৭.৫ এর মধ্যে থাকা ভালো। যদি pH লেভেল বেশি বা কম হয়, তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন।

৬। ফসলের আবর্তন করুন:

একই জমিতে বারবার একই ফসল চাষ না করে, ফসলের আবর্তন করলে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

৭।জমিতে জল ধরে রাখার ব্যবস্থা করুন:

শীতকালে, যখন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকে, তখন জমিতে জল ধরে রাখার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন।

৮। মাটি আলগা করুন:

এঁটেল মাটি শক্ত হয়ে যায়, তাই মাঝে মাঝে কোদাল বা পাওয়ার টিলার দিয়ে মাটি আলগা করে দিন। এতে গাছের শিকড় সহজে বৃদ্ধি পাবে।

৯। সঠিক পদ্ধতিতে সেচ দিন:

এঁটেল মাটিতে সেচ দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে জল জমে না থাকে। জল নিকাশের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

১০। রোগ ও পোকামাকড় দমন করুন:

এঁটেল মাটিতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। তাই, নিয়মিতভাবে ফসলের উপর নজর রাখুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ব্যবহার করুন।

এই টিপসগুলি অনুসরণ করে, আপনি এঁটেল মাটিতে ভালো ফসল উৎপাদন করতে পারবেন।

এঁটেল মাটি সম্পর্কে আমাদের মতামত

এঁটেল মাটি কাকে বলে-- এঁটেল মাটির বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতাএঁটেল মাটিতে ফসল উৎপাদনকে চ্যালেঞ্জিং মনে হলেও উপযুক্ত কৌশল ও টিপস অনুসরণ করে এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা সম্ভব। উপরে উল্লিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করে আপনি সহজেই এঁটেল মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে ভালো ফলন পেতে পারেন।

মনে রাখবেন সঠিক জাত নির্বাচন, মাটির পরীক্ষা, এবং নিয়মিত আগাছা পরিষ্কারের মতো বিষয়গুলোও ভালো ফলন পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ । সুতরাং, আর হতাশ না হয়ে, সঠিক পদ্ধতি ও পরিকল্পনা অনুসরণ করুন এবং এঁটেল মাটিতেও ফসল উৎপাদনে সাফল্য অর্জন করুন।

আপনি যদি এমন শিক্ষামূলক আরও জরুরি আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে এঁটেল মাটি কাকে বলে নিয়ে আপনাদের মতামত কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url